বাংলাদেশের সঙ্গীতভুবনের উজ্জল নক্ষত্র প্রয়াত নীলুফার ইয়াসমীনের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এসে কণ্ঠশিল্পী আগুনকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদলেন গানের ভূবনের আরেক কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমীন। কান্না ধরে রাখতে পারেননি আগুনও। তিনিও কাঁদলেন।
সাবিনা ইয়াসমীন আর আগুন সম্পর্কে খালা-ভাগনে। সাবিনার বড় বোন নীলুফার ইয়াসমীনের ছেলে কণ্ঠশিল্পী আগুন।
কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে খালা সাবিনার সঙ্গে যোগাযোগ নেই আগুনের। দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন ছিল দীর্ঘ কয়েক বছর। যে কারণে ভাগনে আগুনের সঙ্গে অনেক বছর দেখাও হয় না সাবিনার।
তাছাড়া করোনার কারণে গেল দেড় বছর ধরে ঘর থেকে তেমন একটা বেরও হননি সাবিনা।
তাই এতোবছর পর ভাগনেকে দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন সাবিনা। আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি দুজনই।
ভাগনেকে পেয়ে কেঁদে ফেললেন সাবিনা, খালাকে পেয়ে কাঁদলেন আগুনও। দুজনের আবেগ স্পর্শ করেছিল আশপাশের সবাইকে।
গত ১০ মার্চ নীলুফার ইয়াসমীনের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় ঢাকার উত্তরা ক্লাবে।
এ দিন সন্ধ্যায় সেখানে সাবিনা ইয়াসমীন উপস্থিত হলে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
ঘটনাটির বিষয়ে সাবিনা ইয়াসমীন বলেছেন, ‘অমন কিছুই না। পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে আমাদের অনেক বছর ধরে দেখা হয়নি। আসলে অনেক বছর ধরে দেখা নেই তো, তাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। তা ছাড়া ওই দিন নীলুফার আপার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, সবকিছু মিলেই পরিবেশ-পরিস্থিতি এমনই ছিল যে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। এটা হওয়াই স্বাভাবিক।’
সাবিনা ইয়াসমীন ও আগুনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর মতে, দুই পরিবারের মধ্যে দূরত্ব শুরু হয় নীলুফার ইয়াসমীনের মৃত্যুর পর থেকেই। ১০ বছরের মতো সময় ধরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ নেই।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাবিনা ইয়াসমীন। বললেন, ‘বছর ৬ হবে হয়তো আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ হয় না। এটা দুজনের পেশাগত ব্যস্ততা কারণেই হয়নি। মনোমালিণ্যের কিছুই ঘটেনি। আগুনের সঙ্গে কথা না হলেও ওর স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো। তার কাছ থেকেই আগুনের সব খবরাখবর পেতাম।’