মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা ব্যর্থ, কী ভাবছেন কর্মকর্তারা?

Share

বিক্ষোভ দমাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা কোনো কাজে আসছে না বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা স্কারনার বার্গনার।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী মনে করেছিল, কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ক্ষমতা পোক্ত করতে পারবে। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা কোনো কাজে আসছে না।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হুঁশিয়ারি, নিষেধাজ্ঞায় ভয় পায় না মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তবে অভ্যুত্থানবিরোধী প্রচণ্ড বিক্ষোভে ‘বেশ বিস্মিত’ হয়েছে তারা।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদেরকে আটকের কয়েকদিন পর সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি তাদেরকে সতর্ক করে বলেন, অবৈধ ক্ষমতা দখল ও বিক্ষোভকারীদের অতিরিক্ত দমন পীড়নের কারণে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ। কিন্তু তার এই হুঁশিয়ারি থোড়াই কেয়ার করে সেনা কর্তৃপক্ষ।

তিনি জানান, সেনাবাহিনীর উপপ্রধান সোয়ে উইন বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞায় অভ্যস্ত এবং অতীতে এমন নিষেধাজ্ঞা পার করেছি।’ তাদের একঘরে করে দেওয়ার হুমকির উত্তর হচ্ছে, ‘আমাদের কিছু বন্ধু আছে যাদের নিয়ে আমরা একা চলতে পারি।’ খবর এপির।

বুধবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস্টিনা স্কারনার বার্গনার বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বা একঘরে করে দেয়, তাহলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছে জান্তা সরকার। দেশটিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।

শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমার বিষয়ে ব্রিফ করবেন শ্রেনার বার্গেনার। যুক্তরাজ্যের ডাকে এদিন নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি হতে যাচ্ছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তার ব্যবসায়িক মিত্রদের চাপ দিতে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বা দেওয়ার বিবেচনা করছে। এ ছাড়া মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে রাশিয়া এবং চীনের আপত্তির মুখে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাতে পারেনি। ঘটনাগুলোকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় মনে করে দেশ দুটি।

রাশিয়া ও চীনের উদ্দেশে জাতিসংঘ দূত শ্রেনার বার্গেনার বলেন, ‘আমি আশা করি, তারা এটাকে শুধু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে দেখবে না, এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

Related Articles

জি-৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ পাঠায়নি কানাডা

চলতি বছর জি-৭ সম্মেলনে কানাডায় যাচ্ছেন না ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাম্প্রতিক...

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় একদিনে নিহত ৮১

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়  ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৮১ জন ফিলিস্তিনি। রোববার সন্ধ্যা...

ইসরায়েলি হামলা বেড়েছে, গাজায় নিহত ৫৩ হাজার ৩৩০ ছাড়াল

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত একদিনে কমপক্ষে আরও ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।...

পেট্রো ডলারের বন্যায় শেষ হলো ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর

রীতিমতো পেট্রো ডলারের বন্যায় ভেসে চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের...