ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ৭ উইকেট নিয়ে অনন্য মাইলফলক ছুঁয়েছেন ভারতের অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
৭৭ টেস্ট খেলে অশ্বিনের ঝুলিতে এখন ৪০১ উইকেট। শ্রীলংকার কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরনের পর দ্রুততম ৪০০ উইকেটের তালিকায় শোভা পাচ্ছে অশ্বিনের নাম।
এমন রেকর্ড গড়ার পর অশ্বিনকে আধুনিককালের কিংবদন্তি বলে ডাকতে শুরু করেছেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
আর সেই অশ্বিনই বলেছেন, তিনি নাকি দুর্ঘটনাক্রমে ক্রিকেটার হয়ে গেছেন!
বিসিসিআই টিভির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অশ্বিন বলেন, ‘দুর্ঘটনাবশত আমি ক্রিকেটার হয়ে গেছি। আমি আসলে একজন ক্রিকেটপ্রেমী। কখনও কল্পনাও করিনি যে, আমি একদিন ভারতের জার্সি পরব এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলব। আর এখন খেলছি। রেকর্ড গড়েছি। বলতে পারেন, আমি এখানে আমার স্বপ্নে বসবাস করছি। ’
চেন্নাইয়ে জন্ম নেওয়া ৩৪ বছর বয়সী এ অফস্পিনার বলেন, ‘স্ক্রিনে যখন ৪০০ উইকেট ভেসে উঠল তখন পুরো স্টেডিয়াম দাঁড়িয়ে গেছে, সবাই তালি দিচ্ছে। কিন্তু তাদের অভিনন্দনের জবাব দিতে আমার একটা আঙুল পর্যন্ত উঠছিল না। গত তিন মাস আমি আসলে রূপকথার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
কোনো দুর্ঘটনায় পড়ে পুরোদস্তুর ক্রিকেটার বনে গেছেন এ বিষয়ে কিছু জানাননি অশ্বিন।
তবে ক্রিকেটে তার এ সাফল্যের বিষয়ে গোপন রহস্যটা উন্মোচন করলেন অকপটে।
বললেন, ‘অতীতেও আমি অনেক ভিডিও দেখতাম। তবে লকডাউনের সময় ইউটিউবে পুরনো ভিডিও দেখে খেলাটা সম্পর্কে অনেক কিছু বুঝেছি। বিশেষ করে শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে আমি ৮ ঘণ্টা ল্যাপটপের সামনে বসে অজিদের ব্যাটিং দেখেছি। ওদের ভুলভ্রান্তি বোঝার চেষ্টা করছি। খেলার আগে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের অনুশীলনের ভিডিও আমি দেখি। কোন ব্যাটসম্যান কীভাবে আমার বিরুদ্ধে শট খেলবে এবং তাদের কোন জায়গায় বল করতে হবে সব কিছুই এখন আমার নখদর্পণে। ’
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা