চট্টগ্রামে পাঁচদিনের ব্যবধানে যাত্রীসহ খালে উল্টে পড়েছে ব্যাটারিচালিত একটি রিকশা। বুধবার নগরের হালিশহর থানার গলাচিপা পাড়ার মহেশখালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চালক ও যাত্রীদের উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। তবে কারও নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। খালটিতে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই।
পুলিশ জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দুই পুরুষ যাত্রীসহ একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা হালিশহর থানার সামনে মহেশখালে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বলেন, ‘অতিরিক্ত গতিতে চলছিল অটোরিকশাটি। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় ডানে সরে গিয়ে পাশের খালে পড়ে যায়। চালক তাৎক্ষণিকভাবে লাফিয়ে রক্ষা পান। যাত্রীসহ অটোরিকশাটি খালে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। তারা সেখান থেকে চলে যাওয়ায় তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।’
১৮ এপ্রিল নগরের চকবাজারের কাপাসগোলা এলাকার হিজরা খালে প্যাডেলচালিত একটি রিকশা উল্টে খালে পড়ে। এতে ছয় মাসের শিশু সেহেরিজ খালের পানিতে তলিয়ে যায়। ১৪ ঘণ্টা পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামে নালায় পড়ে নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছরের জুনেও নালায় পড়ে স্রোতে তলিয়ে যায় সাত বছরের এক শিশু। এ ধরনের ঘটনা প্রতিবছরই ঘটে। বর্ষা এলে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়। নগরের অরক্ষিত নালা আর অদক্ষ ব্যবস্থাপনার মাঝে হারিয়ে যায় অমূল্য প্রাণ। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট মুরাদপুর মোড়ে বৃষ্টির মধ্যে খোলা নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ। দীর্ঘ সময় উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তার মরদেহ পাওয়া যায়নি।
একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আগ্রাবাদ এলাকায় হাঁটার সময় নালায় পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া। ষোলশহর এলাকায় ২০২২ সালে শিশু কামাল নালায় পড়ে নিখোঁজ হয়। তিন দিন পর মুরাদপুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়া এলাকায় দেড় বছর বয়সী শিশু ইয়াছিন আরাফাত নালায় পড়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। ২০২৪ সালের জুনে গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় সাত বছরের শিশু সাইদুল ইসলাম নালায় পড়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন নাছির খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।